গতকাল দিল্লির জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। কমিশনের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “বর্তমানে রাজ্যের করোনা সংক্রমণের হার নেমে গিয়েছে ২% এরও নীচে। এই সময়েই নির্বাচন করতে হবে।”গতকাল তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন,সুখেন্দু শেখর রায় থেকে শুরু করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার প্রমূখ।
কমিশনের দপ্তর থেকে বেরিয়ে এসে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,”নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পর্যালোচনা করলাম। আমরা উনাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়েছি। আমরা জানিয়েছি যে গত এপ্রিলে করোনার সংক্রমণের হার ছিলো ৩৩% । সেই সংক্রমণ এখন কমে এসেছে ২% এরও নীচে।
যার ফলে রাজ্যের মানুষের এখন আশা রয়েছে যে আগামী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করা হোক। প্রচারের জন্য যৎকিঞ্চিৎ সময় দিলেই হবে। খুব বেশী সময় দেওয়ার দরকার নেই। তবে আমাদের মনে হচ্ছে যে আজকে আলোচনায় আশানুরূপ ফল আমরা পেতে চলেছি।”
এদিকে প্রথম থেকেই উপনির্বাচন করার বিরুদ্ধাচারণ করছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির নেতারা বলছেন যে, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন করালে আবার মানুষের জীবন নিয়ে ছেলে খেলা হবে। একদিকে গতকাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন যে সারা পৃথিবী এখন তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই এই আবহে উপনির্বাচন স্থগিত রাখা ইত্যাদি শ্রেয় বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “বিজেপি বিরুদ্ধাচারণ করছে কারণ জানে ওরা নির্বাচনে হেরে যাবে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করে ফেলতে হবে।”