একটা বিশাল অংশের মানুষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত! অবসরের পর কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। যদিও বেশ কিছু পলিসি আছে জেগুলিতে এখন থেকে টাকা জমালে অবসরের পর লাভজনক হতে পারে। সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে
এই প্ল্যানের সুবিধা অনেকে নিয়ে থাকেন। তবে এমন কিছু প্ল্যান আছে যেখানে বেশি টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রত্যেকদিন মাত্র ৭টাকা দিয়ে ৬০ বছর বাদে পেনশন পাওয়া যেতে পারে। আর তা পাওয়ার জন্য একটা পেনশন যোজনাতে রেজিস্টার করতে হবে। ব্যাঙ্ক থেকেও এই টাকা কাঁটানো যাবে। অটল পেনশন যোজনাতে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর অটল পেনশন যোজনা শুরু করে মোদী সরকার। ২০১৫ সালে এই সুবিধা শুরু হয়। দেশের প্রত্যেক মানুষকে পেনশনে সুবিধা দিতে যুগান্তকারী এই যোজনার সুবিধা সামনে নিয়ে আসে। বিশেষ করে অসংঠিত ক্ষেত্রের
সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। বিশেষ করে ১৮ থেকে ৪০ সালের মধ্যে কর্মীরা এই সুবিধা নিতে পারেন। এই সুবিধা পেতে হলে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। এছাড়া পোস্ট অফিস কিংবা ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, আধার কার্ড থাকাটাও বাধ্যতামূলক।
অটল পেনশন যোজনার পেনশনের টাকা ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। প্রত্যেক মাসে যদি আপনি ২১০ টাকা করে প্রিমিয়াম জমা করেন তাহলে ৬০ বছরের পর ৫০০০ টাকা করে পেনশন মিলবে। অর্থাৎ প্রত্যেকদিন ৭ টাকাতেই
পেনশনের সুবিধা পাওয়া যাবে। ৫০০০ * ১২ মাস অর্থাৎ বছরে ৬০ হাজার টাকা রোজগারের সুযোগ। ৪২ টাকা করে প্রত্যেক মাসে জমা দেন তাহলে ১০০০ টাকা করে মিলবে পেনশন। ৮৪ টাকা করে প্রত্যেক মাসে যদি প্রিমিয়ান দেওয়া হয় এই যোজনাতে তাহলে ৩০০০টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে।
অটল পেনশন যোজনাতে ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যাবে। Income tax act 80C-তে এই ছাড় পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, অর্থনীতির কারবারির বলছেন, এই যোজনাতে টাকা সবসময় সুরক্ষিত থাকে। শুধু তাই নয়, কোনও ব্যক্তি যদি এই যোজনাতে টাকা দিতে
থাকাকালীন হঠাৎ যদি ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় তাহলে নিজে থেকে সেই টাকা চলে যাবে বউয়ের কাছে। কারণ নমিনি হিসাবে তাঁর নাম দেওয়া থাকবে।
ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ এই পেনশনের সুবিধা ভোগ করবে। ৬০ বছর অর্থাৎ অবসরের পর এই সুবিধা মিলবে। ব্যাঙ্ক থেকে প্রতি মাসে এই টাকা কেটে নেওয়া হয়।