আমরা সবাই প্রায় নিজেদের বাড়ি , দোকান এই সব জায়গায় সাবধানতা বজায় রাখার জন্য দরজায় তালা দিয়ে থাকি বা আরো অনেক রকম ভাবে নিরাপত্তা বজায় রাখি । কিন্তু আমদের দেশে এরকম একটি জায়গায় আছে যা সবার ব্যাতিক্রম ।
সেখানে কোনো বাড়িতে দোকানে ইত্যাদি জায়গায় কোনো রকম দরজা নেই । হ্যাঁ ঠিক শুনছেন , আর এই আমাদেরই দেশের মহারাষ্ট্রের আহামেদনগর জেলার একটি গ্রামে এই রীতি মেনে চলে পুরো গ্রামবাসী । তারা মনে করেন শনি দেবতা তাদের সবাইকে রক্ষা করবে । আর এই রীতি আজকে থেকে না অনেক দিন ধরে এই রীতি সবাই মেনে আসছে । এই গ্রামটির নাম হলো শনি – সিঙ্গাপুর ।
এই গ্রামের কোনো বাড়িতে , ব্যাংকে , সোনার দোকানে , লকার এ , স্কুল কলেজ কোথাও কোনো দরজা নেই । এমন কি শৌচালয় তেও কোন দরজা নেই শুধু মাত্র মহিলা দের জন্য পর্দা দেওয়া থাকে এটা বোঝার জন্য ভিতরে কেউ আছে ।
গ্রামবাসীদের থেকে জন্য যায় যে এই গ্রামে কোনো দিন কোনো রকম চুরি হয় নি । কারণ তারা বিশ্বাস করেন যে যদি এই সাহস কেউ করে তাহলে তাকে শনি দেবতার প্রকোপ এ পড়তে হবে এবং তার অভিশাপে যে চুরি করবে তার দৃষ্টিশক্তি হারাবে ।
কথিত আছে একদিন গ্রাম এর একটি নদীতে একটি গ্রামবাসী জলে একটি কালো পাথর ভেসে আসতে দেখে একটি লাঠি দিয়ে সেটি খোঁচা মারে তারপর দেখে সেই পাথর থেকে রক্ত বেড়াতে থাকে । তারপর গ্রামের প্রধানকে দেবতা স্বপ্ন দেখায় যে ওই পাথর টি তারই মূর্তি আর তারা যেনো সেই মূর্তি স্থাপন করতে আর এটাও বলে যে তার মূর্তির চার পাশে যেনো কোনো দরজা না থাকে ।
কারণ চারিদিক খোলা থাকলে ভালো মতো রক্ষা করতে পারবে গ্রামবাসীদের । কিন্তু একটা সংশয় থেকেই যায় যে এই গ্রাম যে পুলিশ স্টেশন এর মধ্যে পড়ে সেখানে কি কোনো অপরাধ হয় না । এক সময় এই ব্যাপার টা মানুষ এতটা মানত যে ভয় হয় তো কোনো অপরাধ করত না ।
কিন্তু এখন এই জায়গা টি যেহেতু পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে তাই সঠিক ভাবে বলা হবে না যে এখানে কোনো আপাওরাধ হয় কি না। আর হলেও হয় সেরকম পর্চার হয় না ।